কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

ঘটনাটি অপহরণের নাকি সাজানো তা জানতে তদন্ত করছে পুলিশ

টেকনাফে ‘মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে অপহৃত’ স্কুলছাত্র

কক্সবাজারের টেকনাফে ‘অপহৃত’ এক স্কুছাত্র মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে স্বজনরা জানিয়েছে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার পর রোহিঙ্গা ডাকাতরা নুর হোসেনকে ছেড়ে দেয় বলে স্বজনদের ভাষ্য।

নুর হোসেন (১৬) নামের এই ছাত্র হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালীর বাসিন্দা ফরিদ আলমের ছেলে এবং লেদা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

তবে ঘটনাটি অপহরণের নাকি সাজানো তা জানতে তদন্ত করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নুর হোসেনের পরিবারের দাবি, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ থানায় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ‘অপহৃত’ নুর হোসেনকে মারধর করার পর একজনের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে নুর হোসেনকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।

হ্নীলা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জামাল হোসেন বলেন, মুক্তিপণের দাবি করা টাকা দেওয়ার পর ডকাতরা নুর হোসেনকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন।

নূর হোসেনের বড় ভাই ছৈয়দ হোসেন বলেন, গত রোববার (২৩ অক্টোবর) পাহাড়ের পাদদেশে ধানখেত পাহারা দিতে গেলে রাত ১টার দিকে রোহিঙ্গা অস্ত্রধারী ডাকাতরা আমাকে ও ছোট ভাই নুর হোসেনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে।

“পরে আমি অসুস্থ বললে ডাকাতরা আমাকে ছেড়ে দেয় এবং নুর হোসেনকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যায়। তখন তার মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে এবং দাবি করা টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে ছেড়ে দেয়। বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের জানাই।”

ছৈয়দ হোসেন বলেন, এরপর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তারা বিষয়টি টেকনাফ থানা পুলিশকে জানান; পাশাপাশি একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।

“তবে অবশেষে নিরুপায় হয়ে আজ বুধবার দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে নুর হোসেনকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে,” বলেন ছৈয়দ হোসেন।

হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, “বিয়ষটি শুনেছি। ওই পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাত দলের অবস্থান রয়েছে। এর মধ্যে আরও দুই-তিনটি ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনায় মুক্তিপণ আদায়ের মাধ্যমে অপহৃতদের ছেড়ে দিয়েছিল।”

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিয়ষটি নিয়ে পুলিশের একটি দল কাজ করছে। তবে নিজেদের মধ্যে কোনো ঘটনাকে আড়াল করতে আত্মগোপন করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এসব ঘটনা কিনা তদন্ত করা হচ্ছে। মাদকের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: